![]() |
প্রতিকী ছবি |
আসছে কয়েকদিন পরেই রোজার ঈদ। আমরা সকলেই ব্যাস্ত ঈদকে ঘিরে নানা ধরনের কেনাকাটায়। আর এই কেনাকাটার সময় ঘটে যেতে পারে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা। তাই আমাদের সকলের উচিৎ কিঞ্চিৎ সতর্কতা গ্রহন করা, যাতে নেহাৎ ফেলে আসা ভূলের জন্য যেন পস্তাতে না হয়। তাই আমাদের আজকের লিখা প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়ে, চলুন দেখে আসি কি কি সতকর্তা নেয়া উচিৎ।
১. ট্রায়াল রুম বা বাথরুমে গোপন ক্যামেরাঃ
জামাটা ভালো করে গায়ে লাগলো কিনা তাই দেখতে গেলেন ট্রায়াল রুমে। আর উঠে গেল আপনার ব্যাক্তিগত ছবি গোপন ক্যামেরায়। এটা যেকোন নারীর জন্যই আপত্তিকর। ইদানীং প্রায়ঃশই ইন্টারনেটে পাওয়া যায় বিভিন্ন মার্কেটের ট্রায়াল রুম বা বাথরুমে মেয়েদের ব্যাক্তিগত দৃশ্য যা মোটেও তার এবং তার পরিবারের জন্য সুখকর নয় বরং খুবই হেয়কর। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সকলের উচিৎ কিঞ্চিৎ হলেও কষ্ট করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা যাতে যেন এ ধরনের বাজে আপত্তিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আমাদের জিবনেনা ঘটে যায়। তাই আজ আমরা জানবো এমনি কিছু টিপস যা আমাদের শপিংকে করবে আরো আনন্দময় এবং আরো স্বাভাবিক।
ক) নেটওয়র্কিং পরিক্ষাঃ
এই পরীক্ষাটিই সবচেয়ে সহজতর। এক্ষেত্রে আপনি ট্রায়াল রুমে ঢুকেই আপনার বাহিরে থাকা কোন বন্ধু বা পরিজন কাউকে কল করুন। যদি নেটওয়ার্ক সমস্যা না করে তাহলে ভালো। আর যদি নেটওয়ার্ক সমস্যা হয় বা না থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি সটকে পড়ুন।
খ) আঙুল পরিক্ষাঃ
ট্রায়াল রুমের আয়নাতে আলতো করে আঙুল রাখুন। যদি আপনার আঙুল আর প্রতিবিম্বের মধ্যে সামান্য দূরুত্ব থাকে, বুঝবেন ঠিক আছে। যদি দেখেন, আপনার আঙুল আর আয়নায় থাকা প্রতিফলনের মধ্যে দূরত্ব না থাকে বুঝবেন, কেউ আয়নার পিছনে নিশ্চই ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছে।
গ) লাইটিং পরিক্ষাঃ
এক্ষেত্রে আপনি রুমে গিয়েই সকল লাইট বা বাতি বন্ধ করে দিন। তারপর আশেপাশে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন কোথাও কোন লাল বা সবুজ বাতি জ্বলছে কিনা। জ্বললে বুঝবেন গোপন ক্যামেরা সেটে দেওয়া আছে
ঘ) সূক্ষ্ম নিরীক্ষণ পরিক্ষাঃ
আজকাল এমন কিছু ক্যামেরা আছে যা কলম, হ্যাঙ্গার, জুতাসহ নানা জায়গায় লুকিয়ে রাখা যায়। তাই যেখানেই যান না কেন, সবসময় চোখ-কান খোলা রেখে তারপর চলবেন। কারন দিন শেষে ক্ষতি হলে আপনারই বা ভালো হলেও সেটা আপনারই।
২. পকেটমার/ছিনতাইকারীঃ
সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভীড় আর ভীড়েই ঘটে যায় বিড়াট সর্বনাশ। প্রতি বছরই ঈদ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে পকেটমার ও এক্সহিনতাইকারীদের আনাগোনা। তারা বিশেষত মার্কেট বা শপিং মলের আশেপাশেই ঘোরাঘুরি করে ও সুযোগ খোজে পকেট কাটার বা জোর করে চাকু বা পিস্তল দেখিয়ে টাকা আদায় করার। তাই এ সময় ভীড়ের সময় সতর্ক থাকবেন পকেটমারের থেকে। কারন ইংরেজিতে একটা ডায়ালগ আছে, Prevention is better than cure. তাই ঘটে যাবার আগেই সতর্ক থাকুন
৩. পন্যের দাম/মানঃ
ঈদে কেনাকাটা করার সময় দাম ও মানের দিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরি। কারন নইলে ঠকে আসার সুযোগ থেকে যায়। এক্ষেত্রে যে কোন কিছুর দাম শুরুতে অর্ধেক ও তারপর আস্তে আস্তে বাড়িয়ে বিক্রেতার চেহারার রঙ খেয়াল করলে দামে আপনি ঠকবেন না। আর মান ভালো পাওয়ার জন্য ভালো চেনে এমন কাউকে সাথে নিয়ে যান। যদি তাও না পান তাহলে নিচে থাকা সেরা ১০ টি কাপড়ের দোকানে সোজা হাটা দিন। দাম একটু বেশি হলেও মানে কিন্তু একশ-একশই পাবেন।
সেরা ১০ বাংলাদেশী কাপড়ের ব্র্যান্ড/ফ্যাশন হাউজঃ
১০. বিবিয়ানা (Bibiyana):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১ই নভেম্বর ২০০১
প্রতিষ্ঠাতা: লিপি খন্দকার
ঠিকানা: ধানমন্ডি, রোড নং-৫, বাড়ি নং -৬, গ্রাউন্ড ফ্লোর (সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে ),
ফোন: 8616251
৯. অঞ্জন'স (Anjan's):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫ই ফেব্রুয়ারিভ১৯৯৪
প্রতিষ্ঠাতা: শাহীন আহমেদ
ঠিকানা: খান ভীলা, ৩৪/বি, চৌধুরী পাড়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোন: 88-02-9362019, 88-02-8357754.
৮. দর্জিবাড়ি (Dorjibari):
প্রতিষ্ঠাকাল:২০০৭
প্রতিষ্ঠাতা: মোঃ ফজলুর রাহমান
ঠিকানা: ৪/১, শিমসন রোড, (৫-৬ নং ফ্লোর), আম্বিয়া টাওয়ার, সদর ঘাট, ঢাকা-১১০০।
ফোন: 02-57396389, 01920215707
৭. কে ক্র্যাফট(Kay Kraft):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৩
প্রতিষ্ঠাতা: খালিদ মাহমুদ ও শাহনাজ খান।
ঠিকানা: ১/এ, উত্তর আদাবর, শ্যামলী, ঢাকা ১২০৭, বাংলাদেশ।
ফোন: +880 2-9872427
৬. রঙ (Rang):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৪
প্রতিষ্ঠাতা: বিপ্লব সাহা
ঠিকানা: শৈল নিবাস হোসাইন আহমেদ রোড, ব্লক#২ পুলিশ লাইন, নারায়ানগঞ্জ- ১৪০০ ঢাকা,বাংলাদেশ।
ফোন: +880177774434, +8801984888444
৫. এক্সটেসি (Ecstasy):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৭
প্রতিষ্ঠাতা: তানজিম হক
ঠিকানা: ১৫৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ , কনকর্ড কলোজিয়াম, ১২ নং ফ্লোর, বনানি, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ।
ফোন: +8801941719894
৪. ইয়োলো (Yellow):
প্রতিষ্ঠাকাল: ২০০৪
প্রতিষ্ঠাতাঃ সালমান এফ রহমান
ঠিকানাঃ বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ফোনঃ 88 01754455533
৩. রিচ ম্যান (Rich Man):
প্রতিষ্ঠাকাল: ২০০২
প্রতিষ্ঠাতা: মোহাম্মাদ জুনায়েদ
ঠিকানা: হোম স্টিড লিং টাওয়ার, টিএ-৯৯, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড, (১২-১৩ ফ্লোর), ঢাকা- ১২১২
ফোন: +88-02-9841504, +88-02-9860614
২. ক্যাটস আই (Cats Eye):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৮০
প্রতিষ্ঠাতা: সাঈদ সিদ্দিকী রুমি এবং মিসেস আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা .
ঠিকানা: মিনিতা প্লাজা (৬ নং ফ্লোর), ৫৪ নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
ফোন: 02 9665184, 02 9660486
১. আড়ং (Aarong):
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭৮
প্রতিষ্ঠাতা: Ayesha Abed.
ঠিকানা: আড়ং সেন্টার, ৩৪৬, তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, ঢাকা- ১২০৮
ফোন: 88028891404
আশাকরি আমাদের লিখা আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসবে। যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। আর আমাদের ব্লগে চাইলে আপনিও লিখতে পারেন। এজন্য নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।
লিখা পাঠানোর ঠিকানাঃ
Email: totthomia@gmail.com
FB Page: facebook.com/totthomia
0 Comments