great wall |
এটাই হলো সপ্তাচার্য এর অন্যতম নির্মাণকর্ম চীনের মহাপ্রাচীর। আসলে এটি ছিল এক প্রতিরক্ষা দেয়াল বিশেষ। ঠিক বাইরের অবাঞ্ছিত লোকদের ঠেকানোর জন্য যেমন করে আমরা দেয়াল তুলি, তেমনি বাইরের শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য চীনের সম্রাট শি হুয়াং তি তার দেশের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শত্রুর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য তৈরি করেছিলেন এই বিস্ময়কর দেয়াল।
তিনি চীনের মহা প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন ২২১ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে। এটি হলো মনুষ্যনির্মিত দীর্ঘতম দেয়াল। দেয়ালের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪০০ কি:মি: বা ১৫ মাইল।
walkway on great wall |
এর একটি চমৎকার ম্যাপ দেখানো হয়েছে। ম্যাপ টা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগ শহর থেকে ফ্লোরিডার সর্বদক্ষিণ সমুদ্র চিলার পর্যন্ত যে দূরত্ব, চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য তাই হবে। এই প্রাচীরের উচ্চতা ২৫ ফুট। এর গোড়ার দিকে ২৫ ফুট। তবে ওপরে চওড়া একটু কম ১৫ ফুট। প্রায় ৩ লক্ষ জন শ্রমিক, প্রকৌশলী মিলে দশবছরের চেষ্টায় শেষ করেছিলেন এ নির্মাণকাজ। তবে এর পুরো কাজটাই করা হয়েছিল শুধু হাত দিয়ে। এখানে কোন যান্ত্রিক শক্তির ব্যবহার করা হয়নি।
another view of great wall |
মাটি ইট-পাথর ইত্যাদি জমিয়ে হাতে তৈরি করা হয়েছিল এই নির্মাণকর্ম। এই দেয়ালের দুই পাশে মাঝে মাঝে বসানো আছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এখানে বসে চৈনিকরা পাহারা দিত কোন শত্রুসৈন্য এগিয়ে আসছে কিনা। এই পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের উচ্চতা ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুট। কয়েকশো গজ পর পরে বসানো হয়েছিল এ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এই প্রাচীর চলে গিয়েছিল পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে, উপত্যাকা পার হয়ে এবং মরুভূমির মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে নিপুন গতিতে।
চীনের মহাপ্রাচীর নিয়ে বলা হয়ে থাকে এটি চাঁদ থেকেও দেখা যায়। কথাটি সত্যি না হলেও এটি মানুষের বানানো সবচেয়ে দীর্ঘ স্থাপনা।
0 Comments