হিট স্ট্রোক কী?
প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে।
প্রচণ্ড গরমে থাকা শরীর থেকে আচমকা ঘাম বেরোনো বন্ধ হয়ে যায়। শরীর যখন তাপমাত্রা হারাতে চায়, তখন ঘামের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করে। তাই এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে, দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে তীব্রভাবে। কখনো কখনো ১০৬ বা ১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যায়।
এই উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানুষ মারাও যেতে পারে। এই সমস্যার জন্য অবশ্য দরকার প্রতিরোধ। প্রথম ধাপ হচ্ছে তীব্র গরমে একটানা কাজ না করে, প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে দশ মিনিটের জন্য ছায়ায় অবস্থান নেওয়া। এই সময়টায় কোনো ধরনের কায়িক পরিশ্রম করা নিষেধ।
হিট স্ট্রোক কাদের বেশি হয়?
প্রচণ্ড গরমে ও আর্দ্রতায় যে কারও হিট স্ট্রোক হতে পারে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ঝুকিতে থাকে। যারা দিনের বেলা রোদে দীর্ঘ সময় পরিশ্র্ম করেন তাদের হবার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে পানিস্বল্পতা হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো কী?
1. প্রচণ্ড পিপাসা পায়।
2. শরীর দুর্বল লাগে।
3. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রিº ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়।
4. ঘাম বন্ধ হয়ে যায়।
5. প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
6. খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ পরিলক্ষিত হয়।
7. নিশ্বাস দ্রুত হয়।
প্রতিরোধের উপায় কী?
1. যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন।
2. বাইরে যারা কাজ করেন, তারা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
3. হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সুতি কাপড় পরুন।
4. প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন।
আক্রান্ত হলে কী করণীয়?
1. বাতাস করুন অথবা ফ্যান ছেড়ে দিন।
2. ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন।
3. সম্ভব হলে গোসল করুন।
4. শীতল জায়গায় অবস্থান করুন।
5. বগলে ও কুঁচকিতে বরফ দিতে পারেন।
যদি হিট স্ট্রোক হয়েই যায়, তবে রোগীকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই।
3 Comments
Very helpful
ReplyDeleteThanks
Very helpful
ReplyDeleteThanks
Welcome
ReplyDelete