ভুত কি সত্যি আছে? |
পৃথিবীতে ভূত বা প্রেতাত্মার কি নেই এটা নিয়ে সভ্যতার প্রথম থেকেই গবেষণা হচ্ছে তবে স্থায়ী কোনো উত্তর মেলেনি। তবে রহস্যময় এই বিষয়ে এগিয়ে এসেছেন এক বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যে তিনি এর উত্তরও দিয়েছেন।
যুক্তিবাদীরা সর্বদায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভুতের অস্তিত্বে। তারা বারবার বলেছেন ভূত যে আছে তার প্রমাণ কোথায়? উত্তরে ভুতবাদীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ভুত যে নেই তার প্রমাণ টাই বা কই? এভাবে পাল্টাপাল্টি প্রশ্নোত্তরে কেটে গেছে যুগের পর যুগ।
এরপর বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ব্রাউন কক্স একটা গ্রহণযোগ্য উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ বিষয়ে গবেষণা করে বলেছেন, ভূতের অস্তিত্ব আসলে নেই। যদি থাকত তাহলে বিশ্বের সব থেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা অবশ্যই ধরা পড়তো।
![]() |
ভুত থাকলে সেটি ধরা পড়বে |
কক্স জানিয়েছেন, মানুষ মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায় তা নিয়েই সভ্যতার উন্মেষের কাল থেকেই মানুষ অনুসন্ধান চালিয়েছে। যদি তেমন কোনো যাওয়ার জায়গা থাকতো তাহলে তা নিশ্চিত ভাবেই বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সানে লার্জ হেড্রন কোলাইডারের ধরা পড়তো।
আণবিক বিশ্লেষণ |
লার্জ হেড্রন কোলাইডার আসলে বিশ্বের বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক। চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই যন্ত্র মহাজগতের মৌলিক বস্তুসমূহ কে বুঝতে চায়। এই বিশ্লেষণ থেকে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান জগতের প্রতিটি এলিমেন্টই জানা বা বোঝা যায়।লার্জ হেড্রন কোলাইডার যে কোন এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
কক্স এর মতে ভূত যদি থাকতো তবে তারা এনার্জি দিয়ে গঠিত হতো। কারণ, আত্মা যে কোন পদার্থ দিয়ে গঠিত নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। অথচ থার্মোডাইনামিক্স এর দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায়। একমাত্র যদি ভূতেরা এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল জেনে থাকে, তাহলে কিছুই বলার নেই। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে, তবে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার তাদের খোঁজ পেত।
0 Comments